সংগৃহীত ছবি
টানা পাঁচ দিন নতুন করে রাজশাহীর কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ গত সোমবার রাজশাহীর ৮০ বছরের এক বৃদ্ধের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর পাঁচ দিন রাজশাহীর কোনো বাসিন্দার করোনা শনাক্ত হয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে রাজশাহী বিভাগের অন্য জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. বুলবুল হাসান জানান, তাদের ল্যাবে প্রতিদিন ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। তবে শনিবারও ৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সংগ্রহের ত্রুটি থাকায় ৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যায়নি। যে ৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তার মধ্যে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তার বাড়ি জয়পুরহাট। তবে রাজশাহীর কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। সর্বশেষ গত সোমবার বাঘা উপজেলার এক বৃদ্ধের করোনা শনাক্ত হয়। ল্যাবে এখন রাজশাহী বিভাগের ছয়টি জেলার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
রাজশাহীতে গত ১২ এপ্রিল প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত সোমবার পর্যন্ত মোট আটজনের করোনা শনাক্ত হয়। রাজশাহীর পুঠিয়া, বাগমারা, মোহনপুর ও বাঘা উপজেলায় তাদের বাড়ি। এদের মধ্যে সাতজনই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও গাজিপুর থেকে এসেছেন। তারা নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রাজশাহী মহানগরীতে এখনও করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হননি।
বাঘা উপজেলার করোনা আক্রান্ত ওই বৃদ্ধের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার উৎস এখনও পাওয়া যায়নি। তিনি রামেক হাসপাতালে চার দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত সোমবার সকালেই তাকে রাজশাহীর সংক্রমক ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। পরে রাতে তার করোনা পজিটিভ বলে রিপোর্ট আসে।
এর আগে ওই রোগী রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে সেখানকার চিকিৎসক-নার্স ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে মঙ্গলবার হাসপাতালের ২১ চিকিৎসক ও ১২ নার্সসহ ৪২ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। তারা ওই রোগীর মাধ্যমে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার তাদের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়নি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ১৪ এপ্রিল থেকে রাজশাহী জেলা লকডাউন। তারপরেও নানা কৌশলে মানুষ রাজশাহী আসছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকেই মানুষ বেশি আসছেন।
স্বপ্নচাষ/আরএস
বাংলাদেশ সময়: ৪:২৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০
swapnochash24.com | Anaet Karim